সূচিপত্র
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক! আশা করি ভাল আছেন। আজ আমরা বিবাহের খুতবা আরবিতে বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ কিভাবে পড়তে হয় এবং এর PDF বই ডাউনলোড লিংক শেয়ার করব।
পাশাপাশি বিবাহের খুতবা পড়ার নিয়ম, বিবাহের খুতবায় উল্লেখিত হাদিস ও কোরআনের আয়াত এবং বিবাহের খুতবার পরে যে দোয়া পড়া হয় তা নিয়েও আলোচনা করব। তো আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।
বিবাহের খুতবা আরবি pdf। বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
সরাসরি বিবাহের খুতবা আরবিতে এই আলোচনা যাওয়ার পূর্বে আমরা বিবাহ সম্পর্কে প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনে নেই।
বিবাহ কাকে বলে
পুরো বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম ধর্মে বিবাহ একটি সওয়াবের কাজ। বিবাহের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানুষের বংশ-পরম্পরা বাকি থাকে। বিবাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হিসেবে ইসলামী বিধানে উল্লিখিত আছে।
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ তার চারিত্রিক গুণাবলীতে অনেক বেশি উন্নতি করতে পারে। এমনকি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ সম্পর্কে বলেছেন যে ব্যক্তি বিবাহ করলো সে যেন তার দ্বীনের অর্ধেক পরিপূর্ণ করে ফেলল।
বিবাহের প্রাথমিক সুন্নত সমূহ
এখানে আমরা বিবাহ সম্পর্কে জরুরী কিছু সুন্নত ও পদ্ধতি অর্থাৎ বিবাহের আদব নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি এই লেখাগুলো আপনাদের সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উপকারে আসবে।
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের সুন্নাত তরীকা
◾সৎ ও খোদাভীরু পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করতে হবে।
◾পাত্র/পাত্রীর জন্য বংশ, মুসলমান হওয়া ধর্মপরায়ণতা, সম্পদশালিতা ও পেশায় সমমানের পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের বিষয়টি শরীআতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পদশালিতায় সমপর্যায়ের হওয়ার দ্বারা বোঝানো হয়েছে ধনবতী মহিলার জন্য একেবারে নিঃস্ব কাঙ্গাল পুরুষ সমমানের নয়; তবে মহরের নগদ অংশ প্রদানে এবং ভরণ-পোষণ প্রদানে সক্ষম হলে তাকে সমমানের ধরা হবে। উভয় পক্ষের সম্পদ একই পরিমাণে বা কাছাকাছি হতে হবে তা বোঝানো হয়নি
◾পাত্র/পাত্রীর ধর্মপরায়ণতার দিকটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে । হাদীছে এ ব্যাপারে স্পষ্টত তাগিদ এসেছে।
◾পাত্র/পাত্রীর বয়সের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা সংগত, পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কিছু বেশি হওয়া উত্তম; তবে খুব বেশি-বেশ কম হওয়া সংগত নয় । (اصلاح الرسوم)
বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার সুন্নাত তরীকা
বিয়ের পয়গাম বা প্রস্তাব দেয়ার পূর্বে নিম্নোক্ত আরবি বাক্যটি বলে নিবে
"আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু" (كتاب الأذكار)
অতঃপর বলবে, আমি অমুকের ব্যাপারে এই আগ্রহ (বিবাহ) নিয়ে এসেছি
কেউ কোথাও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে থাকলে এবং উভয় পক্ষের সে প্রস্তাবে রেজামন্দীভাব দেখা গেলে সেটা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্য কারও পক্ষে সেখানে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ।
পাত্রী দেখার সুন্নত তরিকা
- বিয়ের পূর্বে পাত্রী দেখে নেয়া সুন্নাত । নিজে না দেখলে বা সম্ভব না। হলে কোনো মাহিলাকে পাঠিয়েও দেখার ব্যবস্থা করা যায়।
- পাত্রীর চেহারা এবং হাত দেখার অনুমতি রয়েছে ।
- যে পুরুষ যে নারীকে বিবাহ করতে চায় একমাত্র সে পুরুষ ব্যতীত অন্য কোনো গায়র মাহরাম পুরুষের পক্ষে উক্ত নারীকে দেখা বৈধ নয়। অতএব পাত্রের সঙ্গে তার অন্য বন্ধু-বান্ধব বা মুরব্বী কেউ আসলে সেরূপ ক্ষেত্রে তাদের সম্মুখে যাওয়া থেকে পাত্রীর বিরত থাকা ওয়াজিব।
পাত্রীর মধ্যে যেসব গুণ থাকা উত্তম ও কাম্য
◾পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কুফূ থাকার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচ্য। বিয়ে-শাদির ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমতুল্যতাকে বলা হয় কুফু।
৫টি বিষয়ে সমতুল্যতা দেখার রয়েছে। যথা:-।
- উভয়ের বংশগতভাবে সমতুল্য হওয়া।
- উভয়ের মুসলমান হওয়া ।
- দ্বীনদারী তথা ধর্মীয় মান্যতার ক্ষেত্রে সমতুল্য হওয়া।
- ধন-সম্পদে সমতুল্য হওয়া।
- পেশাগতভাবে উভয় পরিবার একই ধরনের হওয়া।
(کنزا الدقائق)
◾পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারী থাকা। হাদীছে পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারির বিষয়টিকে প্রাধ্যান্য দিতে বলা হয়েছে।
◾সৌন্দর্য, বংশ উত্তম হওয়া এবং সম্পদ থাকা— দ্বীনদারির সঙ্গে সঙ্গে এগুলো থাকলে আরও উত্তম ।
◾পাত্রী মায়াবতী ও সহানুভূতিসম্পন্ন হওয়া ।
বিয়ের দিন, সময় ও স্থানের সুন্নতি বিধান
বিয়ে শাওয়াল মাসে এবং জুমুআর দিনে এবং মসজিদে সম্পন্ন করা। উত্তম। এছাড়াও যেকোনো মাসে, যেকোনো দিনে, যেকোনো সময়ে বিয়ে হওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। অমুক অমুক দিন বিয়ে করা ঠিক নয়- এ জাতীয় কথা কুসংস্কার এবং এগুলো হিন্দুয়ানী ধ্যান-ধারণা থেকে বিস্তার লাভ করেছে
বিবাহ পড়ানোর নিয়ম
এলান বা ঘটা করে (অর্থাৎ, বিয়ের খবর প্রচার করে) বিয়ের আকদ সম্পন্ন করা সুন্নাত। বিনা ওজরে এলোন ছাড়া গোপনে বিবাহ পড়ানো সুন্নাতের খেলাফ। (৭/৬)
বিবাহের চুক্তি সম্পূর্ণ করতে চাইলে যদি পূর্বে মহর নির্ধারণ না হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে মহর নির্ধারণ করবে। আর কম মহর ধার্য করার মধ্যেই বরকত নিহিত।
উকীল পাত্রী থেকে অনুমতি/সম্মতি নিয়ে আসবে। পাত্রী নিজেও মজলিসে এসে সরাসরি প্রস্তাব/কবূল করতে পারে- সে ক্ষেত্রে উকীলের প্রয়োজন হয় না। উকীলের অনুমতি/সম্মতি আনার সময় সাক্ষীদের উপস্থিত থাকা জরুরি নয়। ইজাব কবুলের সময় সাক্ষীদের উপস্থিত থাকা জরুরি।
গায়রে মাহরামকে উকীল বানানো ঠিক নয়।
অতঃপর বিয়ের নিম্নোক্ত খুতবা পাঠ করবে। এই খুতবা পাঠ করা মোস্তাহাৰ। এই খুতবা ইজাব কবুলের পূর্বে হওয়া সুন্নাত । قنادی محمودیہ و فتاوی رحیمیة جـ ٦
বিবাহের খুতবা পড়ার নিয়ম
বিবাহের খুতবা মৌলিকভাবে দাঁড়িয়ে পড়াই নিয়ম। বসেও পড়া জায়েয আছে । (فتاوی رحیمیہ)
বিবাহের খুতবা আরবিতে, বিবাহের খুতবার আয়াত হাদিস
বিবাহের খুতবাটি এই-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا، وَ مِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِ اللهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، أَرْسَلَهُ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَّنَذِيرًا بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ، مَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ، وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَإِنَّهُ لَا يَضُرُّ إِلَّا نَفْسَهُ وَلَا يَضُرُّ اللهَ شَيْئًا، يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِى خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ وَّ خَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَ بَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَ الْاَرْحَامَ إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ أمَنُوا اتَّقُوا اللهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا.
(كتاب الأذكار)
এই খুতবার সঙ্গে নিম্নোক্ত বাক্যও যোগ করা উত্তম ।
أزَوِّجُكَ عَلَى مَا اَمَرَ اللهُ بِهِ مِنْ إِمْسَاكِ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٍ بِإِحْسَانٍ .
كتاب الأذكار احسن الفتاوى جـ
খুতবা পাঠ করার পর দুজন সাক্ষীর সম্মুখে তাদেরকে শুনিয়ে উকীল (বা পাত্রী) পাত্রকে (বা তার নিযুক্ত প্রতিনিধিকে) পাত্রীর পরিচয় প্রদানপূর্বক বিয়ের প্রস্তাব পেশ করবে এবং পাত্র (বা তার প্রতিনিধি তার পক্ষ হয়ে) আমি কবুল করলাম বা আমি গ্রহণ করলাম বা ইত্যকার কোনো বাক্য বলে সে প্রস্তাব গ্রহণ করবে। ব্যস, বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল ।
বিবাহের খুতবা বাংলা উচ্চারণ
আলহামদুলিল্লাহি নাস্তাইনুহু ওয়া নাস্তাগফিরুহু ওয়া নাউজুবিল্লাহি মিংশুরুরি আনফুসিনা ও ওয়া মিং সায়্যায়িআতি আ'মালিনা মায়্যাহদিল্লাহু ফালা মুদিল্লাহ্। ওয়মায়্যুদলিল ফালা হাদিয়া লাহু। আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু, আরসালাহু বিলহাককি বাসিরান ওয়ানায়িরান বাইনা ইয়াদাই সা'আতি, মান ইউতি আল্লাহা ওয়ারাসূলাহু ফাকদ রাশদা, ওয়া মান ইয়াসিহিমা ফা'ইন্নাহু লা যাদুর্রু ইল্লা নাফসাহু ওয়ালা যাদুর্রু আল্লাহা শাইয়্যান।
ইয়া আইহুহাল্লাজিনা আমানু তাকুল্লাহা রাব্বাকুমুল্লাজি খালাকাকুম মিন নাফসিন ওয়াহিদাতিন ওয়া খালাকা মিনহা জাওজাহা ওয়াবাসা মিনহুমা রিজালান কাসীরান ওয়ানিসাওয়া ওয়াত্তাকুল্লাহা লাল্লাজী তাসা'লুনা বিহি ওয়াল আরহামা ইন্নাল্লাহা কানা আলাইকুম রাকীবা।
ইয়া আইহুহাল্লাজিনা আমানু তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহী ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়াআনতুম মুসলিমুন। ইয়া আইহুহাল্লাজিনা আমানু তাকুল্লাহা ওয়াকুলু কাওলান সাদীদান ইউসলিহ লাকুম আ'মালাকুম ওয়াযাগফির লাকুম যুনুবাকুম ওয়ামান ইউটিআল্লাহা ওয়ারাসূলাহু ফাকদ ফাজা ফাওয়্জান আজিমা।
বিবাহের খুতবা বাংলা অর্থ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আমরা তাঁর কাছে সাহায্য চাই এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাই, এবং আমরা আমাদের নিজেদের অনিষ্ট থেকে এবং আমাদের কাজের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
আল্লাহ যাকে পথ দেখান তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন তার কেউ নেই যে, তার জন্য পথপ্রদর্শন করবে।
এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সা: তাঁর বান্দা ও রাসুল। তিনি তাকে সত্যের সাথে পাঠিয়েছেন কেয়ামত পর্যন্ত সংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে।
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে সে সফলকাম হল আর যে তাদের নাফরমানি করল সে কেবল নিজেরই ক্ষতি করল সে আল্লাহ তাআলার কোন ক্ষতি করতে পারল না।
হে লোক সকল, তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার সঙ্গী সৃষ্টি করেছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে অনেক পুরুষ ও মহিলা এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার দ্বারা তোমরা চাও এবং আত্মীয়-স্বজন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি সর্বদাই রক্ষক।
হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহ তাআলাকে যথাযোগ্য ভয় কর এবং তোমরা মুসলমান হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করিও না।
হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহ তালাকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজগুলোকে সঠিক করে দিবেন এবং তোমাদের গুনাহ সমূহকে মাফ করে দিবেন। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করল সে মহা সফলতা লাভ করলো।
বিবাহের খুতবা আরবিতে pdf ডাউনলোড
বিবাহের খুতবা আরবিতে pdf বইটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন। কিংবা চাইলে অনলাইনে পড়তে পারেন।
বিবাহের খুতবা ও দোয়া
বিবাহের খুতবা পড়ার পর নব দম্পতির উদ্দেশ্যে উপস্থিতরা বা পরবর্তীতে যে বিবাহ সম্পর্কে জানবে সে নিম্নোক্ত দুআ পড়বে।
بَارَكَ اللهُ لَكُمَا وَبَارَكَ عَلَيْكُمَا وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
বিয়ের আকদ সম্পন্ন হওয়ার পর খেজুর ছিটিয়ে দেয়া বা বণ্টন করা সুন্নাতে যায়েদা । হযরত থানবী (রহ.) বর্তমান যুগে ছিটানো নয় বরং বণ্টন করাই সঙ্গত বলে মত প্রকাশ করেছেন ।
কারণ, খেজুর ছিটানো সম্পর্কিত হাদীস কারও কারও মতে যয়ীফ, তদুপরি বর্তমান যুগে খেজুর ছিটানো ও তা আহরণকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য হয়ে থাকে, তাই ছিটানোর পদ্ধতি পরিত্যাগ করা সঙ্গত।
সূত্র:
- قنادی محمودیہ و فتاوی رحیمیة جـ ٦
- كتاب الاذكار
- احسن الفتوىا
- احكام زندغي
Rate This Article
Thanks for reading: বিবাহের খুতবা আরবি pdf। বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ এবং বিবাহ পড়ানোর নিয়ম।, Sorry, my English is bad:)